বইয়ের বন্ধু বঙ্গবন্ধু
অনুপম হায়াৎ - বঙ্গবন্ধুর বইপড়া ও বই প্রীতি সম্পর্কে আলোকপাত করাই এই প্রবন্ধের উদ্দেশ্য। এর ফলে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই মহান নেতার আদর্শ অনুসরণ করে বইপড়া তথা জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে নিজেকে সুশিক্ষি
জাতির পিতা মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (১৯২০-১৯৭৫) জীবন, কর্ম, চিন্তা, দর্শন ও আদর্শ বাঙালির প্রেরণার উৎস। এই কর্মবীর ও ত্যাগী রাষ্ট্রনায়কের জীবনে, মননে, সৃজনে, চেতনে বইয়ের বিরাট অবদান রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর লিখিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী' (২০১২), তাঁর চিঠিপত্র, ডায়েরি, বক্তৃতা, ভাষণ, পারিবারিক, ব্যক্তিগত ও দলীয় পাঠাগার, লেখক- গবেষক-অধ্যাপক, বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী এবং নিকট আত্মীয়দের সূত্রে তাঁর বইপড়া, বই-প্রীতি, বই সংক্রান্ত অবহিতি, পাঠস্পৃহা ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যায়। ছাত্রজীবনে, রাজনৈতিক জীবনে, রাষ্ট্রনায়ক জীবনে তিনি অসংখ্য বই- পুস্তক ও পত্র-পত্রিকা পড়েছেন, ব্যক্তিগত-পারিবারিক ও দলীয় পর্যায়ে স্থাপন করেছেন পাঠাগারও ।
বঙ্গবন্ধুর সেই বইপড়া ও বই প্রীতি সম্পর্কে আলোকপাত করাই এই প্রবন্ধের উদ্দেশ্য। এর ফলে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই মহান নেতার আদর্শ অনুসরণ করে বইপড়া তথা জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে নিজেকে সুশিক্ষিত ও স্বশিক্ষিত করে ব্যক্তিগত-পারিবারিক-সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে কল্যাণব্রতে সচেষ্ট হবেন।
‘বঙ্গবন্ধুর বইপড়া’ শুরু হয় পারিবারিক পরিবেশে। ঐতিহ্যবাহী শিক্ষিত মুসলিম পরিবারে বঙ্গবন্ধুর জন্ম। পিতা শেখ লুৎফর রহমান (৩০ মার্চ, ১৯৭৫) ছিলেন শিক্ষিত ও সচেতন ব্যক্তি। তিনি সরকারি চাকুরি করতেন। আদরের পুত্র খোকার (বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক ডাক নাম) জন্য তিনি বাড়িতে তিনজন শিক্ষক রেখেছিলেন। একজন ইসলাম ধর্ম সংক্রান্ত শিক্ষার জন্যে মৌলভী সাহেব, দ্বিতীয় জন সাধারণ শিক্ষার জন্য পণ্ডিত সাখাওয়াত উল্লাহ, আর তৃতীয় জন কাজী আবদুল হামিদ। বঙ্গবন্ধু মৌলভী সাহেবের কাছে ‘আমপারা' আর পণ্ডিত সাখাওয়াত উল্লাহর কাছে বাংলা বর্ণমালা ও নামতা পড়তেন এবং কাজী আবদুল হামিদের কাছে পড়তেন কবিতা-গল্প ও ইতিহাস।' এভাবে পারিবারিক পর্যায়ে এবং পরবর্তীতে স্কুল ও কলেজ জীবনে তৎকালীন শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত পাঠ্যবই বঙ্গবন্ধুর পড়ার তালিকায় যোগ হয়। পড়ার সুযোগ নিয়ে জন্মেছিলেন বঙ্গবন্ধু । পিতা-মাতার স্নেহ ও তত্ত্বাবধানে তিনজন গৃহশিক্ষক ও স্কুল শিক্ষকদের শিক্ষার পাঠদানের বাইরে বঙ্গবন্ধুর আরেকটি বড় ধরনের পাঠের সুবর্ণ সুযোগ ছিল বাড়িতে নিয়মিতভাবে কলকাতা থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক ও মাসিক পত্রিকা পড়া। এ সম্পর্কে জানা যায় তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী' থেকে। বঙ্গবন্ধু লিখেছেন—
Keep reading with a 7-day free trial
Subscribe to পড়ুয়া to keep reading this post and get 7 days of free access to the full post archives.