বিদ্যাসাগর: বিতর্ক ও সমালোচনার সেকাল একাল
শিবাশীষ বসু
গত শতাব্দীর সাতের দশকের শুরুতেই আক্ষরিক অর্থেই বিদ্যাসাগরের মুন্ডপাত করেছিল নকশালরা। যুক্তি ছিল তাঁদের পক্ষে। শুধু নকশাল আমলেই নয়, নানা সময়ে বিদ্যাসাগরের বিরুদ্ধে শোনা গিয়েছে বহু সমালোচনা, তাঁর কাজ ও ভাবনা-চিন্তার দুর্বলতা বা উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। নিছক কালিমালিপ্ত করার প্রচেষ্টা নয়, অ্যাকাডেমিক স্তরেও সমালোচিত হয়েছেন বিদ্যাসাগর, সমালোচকরা দেখিয়েছেন তথ্যসূত্রও।
প্রবাহিত মনুষ্যত্ব: ফিরে পড়া শঙ্খ ঘোষের বই
সম্পাদনা: তপন গোস্বামী
গ্রন্থটির ছয়টি পর্ব। প্রথমটিতে আছে কবির একটি সাক্ষাৎকার, নির্বাচিত কবিতা, পাঠসূত্রে উদ্ধৃতি চয়ন ও প্রাসঙ্গিক কবিকথা। এই অংশটি অনেকটা গৌরচন্দ্রিকার মতো। শঙ্খ ঘোষের কাব্যগ্রন্থগুলির আলোচনার পূর্বে এই অংশ যেন ‘আবহ’, স্তব্ধতা যেভাবে কবিতার ভাষা হয়ে ওঠে। সাক্ষাৎকারে কাব্যগ্রন্থগুলির হয়ে ওঠার গল্প শুনতে শুনতে কবির অন্তরমহলে উঁকি দেওয়া সম্ভব হয়েছে। নির্বাচিত কবিতা ও পাঠসূত্রে উদ্ধৃতি চয়ন পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনার মতো। পুনর্পাঠে অনেক স্মৃতি, অনেক প্রাক্-যাপনের কথা ধ্বনিত হয়। নিভন্ত চুল্লিতে আগুন জ্বলে ওঠে পুনর্বার, ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’।
জাতীয়তাবাদী চিন্তার বিকাশ: বাংলাদেশের ষাটের দশকের কবিতা
কুদরত-ই-হুদা
কুদরত-ই-হুদার সদ্য প্রকাশিত জাতীয়তাবাদী চিন্তার বিকাশ: বাংলাদেশের ষাটের দশকের কবিতা গ্রন্থে জাতীয় ইতিহাসের সাপেক্ষে কবিতার ইতিহাস রচিত হয়েছে। বাংলাদেশের কাব্যপাঠের ধারায় এ ধরনের উদ্যোগ নতুন নয়। বরং বলা যাবে, জাতীয় ইতিহাসের—বিশেষত আন্দোলন-সংগ্রামের প্রত্যক্ষতায় কাব্যপাঠই এখানকার সমালোচনা-সাহিত্যের প্রধান ধারা। কিন্তু কুদরত-ই-হুদা যেভাবে একটা পরিকল্পনার অধীনে অন্তত তিন দশকের কবিতার বিচার-বিশ্লেষণ করেছেন, তা বিশেষভাবে গুরুত্ববহ হয়েছে।
কুদরত-ই-হুদা বিবরণী রচনা করেছেন অন্তরঙ্গ খোশমেজাজে। শব্দ সঞ্চয় করেছেন বোঝাবুঝির দিক থেকে—‘জারগন’ বা পরিভাষার গোলামি না করে। কাজেই বইটিতে থিসিসের দৃঢ়তা ও কাব্যালোচনার কোমলতা একসঙ্গে রক্ষিত হয়েছে। পড়ার আরাম আর প্রাপ্তির দিক থেকে এ মেলবন্ধনও খুব কাজের হয়েছে।
১৬/১৭ লাভ লেন
হরিশংকর জলদাস
হরিশংকর জলদাসের উপন্যাসের গতানুগতিক যে ধারার সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত, তার চেয়ে বেশ অনেকটাই ভিন্ন গল্প আর ভিন্ন চরিত্রদের নিয়ে এ উপন্যাস। শুধু সমাজের নিম্নবর্গের কাহিনিই নয়, এই লেখক যে সমাজের উঁচু স্তরের মানুষের জীবনের আখ্যান বুননেও দক্ষ, তার প্রমাণ এই ১৬/১৭ লাভ লেন।
মোটকথা, ‘পড়ুয়া’ বিশ্বজোড়া বাংলাভাষী পাঠকের যেমন ইচ্ছে লেখাজোকার স্বাধীন খাতা। আশা করবো পড়ুয়াদের সক্রিয় অংশগ্রহণে সে খাতার প্রতিটি পাতা ভরে উঠবে। বই আমাদের নির্ভরযোগ্য আশ্রয় হয়ে উঠুক। পড়ুয়া পরিচয়ে আমরা আরো বেশি বেশি সক্রিয় হয়ে উঠি। ‘পড়ুয়া’র লেখক, পাঠক, শুভানুধ্যায়ী সকলের প্রতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা। আপনার লেখা আমাদের সমৃদ্ধ করবে। লেখা পাঠানোর ঠিকানাঃ editor@porua.net