পড়ুয়া নেট, ওয়েব ম্যাগ এ ফেরদৌস নাহারের একটি ফিচার পড়লাম। "আমি কেন অন্ধ হলাম।"
ক্লাস থ্রি থেকেই লেন্স উঠেছে চোখে। সন্ধ্যার আধো অন্ধকারেও বালিকা পড়েই চলত, উঠে গিয়ে আলো জ্বালাওতেও সময় নষ্ট করতে চাইত না। মায়ের বকুনিতেও কাজ দিতনা। বোঝাই গেল পিতার পুস্তক প্রেম সংক্রামিত কন্যার উপর। হাতের কাছে বাংলায় হেমিঙওয়ের ফেয়ারওয়েল টু আর্মস, এরিক মারিয়া রেমার্ক এর থ্রি কমরেডস, অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট, এইসব বই নিয়ে কাটতো। সেই থেকে বই এবং লেখকদের সঙ্গ। এমনকি হেমিংওয়েকে একখানা চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত। কেন তিনি এম্বুলেন্স ড্রাইভারের প্রেমিকা নার্সকে অসময়ে হাসপাতালে মেরে ফেললেন। ফেরদৌসের কান্না থামলেই হেমিংওয়েকে কৈফিয়ত তলবের সিদ্ধান্ত। যদিও অগুগলীয় যুগে তিনি জানতেনই না বহুকাল আগেই লেখক প্রয়াত । পরে পরিণত বয়সে যখন প্রবাসে গেলেন, হেমিংওয়ের চলনপথে তিনিও হেঁটেছেন, তাঁর নিবাসেও গেছেন, তখনও সেই নার্স হতভাগিনীর কথা মনে করে বুকটা চিন চিন করে উঠেছিল। একটু বয়েস হলে, "ন হন্যতে"। ততদিনে লা ন্যুই বেঙ্গলির ইংরেজি ভার্সান পড়া হয়ে গেছে। সেই থেকে মংপু তাঁকে টেনেই চলেছে। একালের আশ্চর্যপুরুষ রবীন্দ্রনাথের স্পর্শধন্য মংপু। বহু চেষ্টাতে ২০১৮ তে গেলেন বিদেশ থেকে এসে, কিন্তু সব সাধ পূরণ হলোনা। বিবরণটি সরল এবং সীমিত। সুখপাঠ্য লেগেছে আমার। বই প্রেমিক লেখক ছোট থেকেই গড়ে উঠেছেন। যারাই পাঠ করবেন, আশা করি প্রীত হবেন।