পড়ুয়াদের জন্য উদ্যান
যে-কোনও মাধ্যম যেমন, কিন্ডল, ট্যাব, ল্যাপটপ এমনকি মোবাইল ফোনও পড়ার মাধ্যম হতে পারে। শুধুমাত্র রেফারেন্স বই বা গল্পের বই নয়, সংবাদপত্র, সাময়িকপত্র, গবেষণাপত্র, থিসিস, জার্নাল সব কিছু পড়া যাবে।
সম্প্রতি দক্ষিণ ভারতের এক সংবাদপত্রে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। বেঙ্গালুরু শহরের একটি উদ্যান সংক্রান্ত সে সংবাদে প্রকাশ, এই পার্কে রয়েছে পড়ুয়াদের অবাধ ও শান্তিতে বই পড়ার সুযোগ। সূর্যাস্তের আগে পর্যন্ত নিঃশব্দে গ্রন্থপ্রেমী মানুষ তাঁর পছন্দের বইয়ে ডুবে থাকবেন। হকারের উপস্থিতি, আশপাশে উচ্চঃরবে কোলাহল বা তজ্জনিত অন্য কোনও প্রকার উপদ্রব– যাতে পাঠকের মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটতে পারে, এমন কোনও কিছু সেখানে হবে না। অবকাশ যাপনের এমন মুহূর্তকে যে এভাবে উপস্থাপন করা যায়, সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ, যাঁদের উদ্যোগ এর নেপথ্যে আছে, তাঁরা অবশ্যই এজন্যে ধন্যবাদার্হ। ব্যস্ত-কর্মমুখর জীবনের মধ্যে থেকেও পড়াশোনার এমন মনোরম পরিবেশের কথা ভাবা যেতে পারে, সমস্ত বইপ্রেমী মানুষ এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এই উদ্যানে বই পড়ার মুহূর্তগুলি কেমন হতে পারে? সংবাদে প্রকাশ, শুধুমাত্র বইয়ের হার্ড কপি নিয়ে এখানে প্রবেশাধিকার পাওয়া যাবে তাই নয়, যে-কোনও মাধ্যম যেমন, কিন্ডল, ট্যাব, ল্যাপটপ এমনকি মোবাইল ফোনও পড়ার মাধ্যম হতে পারে। শুধুমাত্র রেফারেন্স বই বা গল্পের বই নয়, সংবাদপত্র, সাময়িকপত্র, গবেষণাপত্র, থিসিস, জার্নাল সব কিছু পড়া যাবে। শর্ত একটিই– কোনও প্রকার শব্দ করা চলবে না। আর ফোনে কথা বলাও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। নিয়ম না-মানলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তৎক্ষণাৎ উদ্যান থেকে বহিষ্কার করা হবে। না, ভয়ঙ্কর রকমের কঠিন নয় এই সব শর্ত। জৈবিক চাহিদার কথা মাথায় রেখে গ্রন্থপাঠের সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে একটি বিরতিপর্ব দেওয়া হয়েছে। সে সময়ে ক্ষুন্নিবৃত্তি, প্রয়োজনীয় কথাবার্তা এবং ফোনালাপ চলতে পারে। নিরিবিলিতে গ্রন্থপাঠের এই ব্যবস্থা ভারতের শহর গ্রাম নগরে প্রসারিত হোক– এর চেয়ে সুখকর পরিস্থিতি আর কী বা হতে পারে!